সংবাদাতা নাইমের প্রেরিত সংবাদ:
অদ্য ৩রা জুলাই ২০২৩ইং ভোররাত রোজ শুক্রবার যাত্রাবাড়ীস্থ মীর-হাজীরবাগে হাজী মোঃ নুর নবীর বাড়ীতে ভয়াবহ ডাকাতি সংঘঠিত হয় এবং দূর্বৃত্তরা ডাকাতিরপর গৃহের দারোয়ানকে নির্মমভাবে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। উপস্থিত স্থানিয় লোকজন ভোর আনুমানিক ৪.০০ ঘটিকায় দারোয়ান মোকবুল মিয়া (৪৫) কে গুরুতর জখম ও জ্ঞানহীন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যালে আনায়ন করলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষীত করেন। এই ভয়াবহ ডাকাতির প্রসঙ্গে গৃহকর্তা ও পরিবার সদস্যরা নিশ্চিত করেন-তাহারা সবাই নিজ কামড়ায় ঘুমন্তরত রাত আনুমানিক ১২.৪৫/১.১৫ ঘটিকায় অস্ত্রধারী ৮/৯জন মাক্স পরিহিত দুর্বৃত্তরা গৃহে প্রবেশ করে। তাহারা অস্ত্রের মুখে নীচ তলায় গৃহকর্তা হাজী সাহেব ও তার স্ত্রী এবং ২য় তলায় ইতালি ও আমেরিকা প্রবাসী হাজীর ২ পূত্র মোঃরেজা নুর (৩৫) ও মোঃ আমি নূর (৩৩) সহ পরিবার সদস্যদের হাত পা চোখমুখ বেধে ফ্লোরে উবুত করে ফেলে গৃহের সিন্দুক থেকে নগদ ৭লক্ষ ৫০হাজার টাকা, ৫৩২০ ইউরো, ৩৩০০ মার্কিন ডলারসহ আনুমানিক ১৫৩ভড়ি স্বর্নালঙ্কার ও মোবাইল ইত্যাদি মূল্যবান মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় গেটে দারোয়ান চিৎকার করে বাধা দিলে দূর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে কণ্ঠ নালী ও বুক পেটে গুরুতর আঘাৎ করে পালিয়ে যায়। ডাকাতির ঘটনাটি এলাকায় যানাজানির সাথে সাথে প্রতিবেশী ও আইন প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রক্তাত্ব জ্ঞানহীন দারোয়ানকে গেটের বাহিরে দেখতে পায়। ফলে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানিয় ক্লিনিকে হাজির করলে ডাক্তার দারোয়ানের অবস্থা সোচনীয় বুঝতে পেরে তাৎক্ষনিক ঢাকা মেডিক্যালে প্রেরন করে কিন্তু দুঃখজনক কণ্ঠনালীর ক্ষত স্থান থেকে অনিয়ন্ত্রীত রক্ত পাতের ফলে পথেই তাহার মৃত্যু ঘটে। প্রতিনিধি ভিকটিম পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন যে-প্রবাস থেকে হাজী সাহেবের ২পূত্র দীর্ঘদিন পর দেশে আসার কারনে বিভিন্ন আত্মিয়সজন ও বন্ধুবান্ধবরা দেখা সাক্ষাত করতে গৃহে প্রতিনিয়ত আসা-যাওয়া চলমান ছিল। ফলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছে-এই ডাকাতির ঘটনাটি তাহাদের স্থানিয় শত্রুপক্ষরা সুযোগ মোতাবেক পরিকল্পীতভাবে সংঘঠিত করেছে। এই বিষয় প্রতিবেশী ও আইন প্রশাসনের লোকজন ধারনা করছেন যে-ডাকাতদল মাক্স পরিহিত ছিল বিধায় হাজী পরিবারের ঘনিষ্ট বা স্থানিয় পরিচিত লোকজন ঘটাতে পারে। যাহার ফলে দারোয়ান তাদের চিনতে পাড়ায় দূর্বৃত্তরা ইচ্ছাকৃত হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে ভিকটিমের কন্ঠ নালী ও বুক পেটে গুরুতর জখম করে। উপস্থিত যাত্রাবাড়ী থানার ও/সি ও ঘটনার সুরতেহাল পুলিশ পরিদর্শক নিশ্চিত করেন যে-এই ডাকাতি ও হত্যার ঘটনার প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার ও আইনের আধিনে কঠোর সাজা প্রদানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বর্তমানে পুলিশি তৎপড়তা চলমান এবং এখনো কোন অপরাধীকে পুলিশ ফোর্স গ্রেফতার করতে পারেন নাই।