( পর্ব ০১)
বিশেষ প্রতিনিধি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ রানা:
প্রতি মাসে ৩ শত ১৭ কোটি ১০ লক্ষ টাকার বেশি চুরি হচ্ছে। না দেখার ভান করছেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এণ্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি । বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় এর চেয়ে বেশি চুরি হচ্ছে কিনা জানিনা। আমাদের সংবাদ কর্মী বিগত চার মাস কঠোর পরিশ্রম করে গাজীপুর জেলার বিভিন্ন বাসা বাড়ি থেকে তথ্য সংগ্রহ করে । জানা যায় গাজীপুর জেলায় প্রতি নিয়ত চুরি হচ্ছে বাসা বাড়ির ব্যবহৃত গ্যাস যারা চুরি করে অবৈধ ভাবে গ্যাস ব্যবহার করিতেছেন তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক লোক সরকারি কর্মকর্তা আবার কিছু লোক বিভিন্ন দলীয় ভাবে করছেন আরও আছেন বিভিন্ন পেশার মানুষ । তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এণ্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। এভাবে দেশের সম্পদ চুরি করে ব্যবহার করছেন বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ দেশের সম্পদ দেশে মানুষ ব্যবহার করবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু সরকারি ভাবে আবাসিক বাড়ির তিতাস গ্যাস পাস না থাকায় চুরি করে ব্যবহার করছেন গ্যাস। আমাদের সংবাদ কর্মী গাজীপুরের প্রতিটি বাড়িতেই ঘুরে দেখেছেন বৈধ ভাবে গ্যাস সংযোগ নিয়ে আছেন কিন্তু তাহার মাঝে অবৈধ সংযোগ বেশি পাওয়া যায় এ ব্যাপারে প্রতিটি বাড়ির মালিকের সাথে কথা বলে বৈধ ভাবে গ্যাস সংযোগ নিয়ে কেন আপনারা অবৈধ ভাবে গ্যাস নষ্ট করছেন তারা বলে আমরা বৈধ ভাবে গ্যাস ব্যবহার করতে চাই কিন্ত সরকারি ভাবে আমাদের গ্যাস দিচ্ছে না। তারা আরো বলেন আমরা বৈধ ভাবে যে গ্যাস পেয়েছি তা আমাদের হচ্ছে না। তা ছাড়া আমরা যে বৈধ ভাবে গ্যাস নিয়েছি তার চেয়েও বেশি অবৈধ সংযোগ আছে আমরা তো সরকারি ভাবে বিল দিচ্ছি কিন্তু যারা কোন বিল দিচ্ছেন না তাদের ব্যাপারে সরকারি ভাবে কি পদক্ষেপ নিয়েছেন। আমাদের সংবাদকর্মী প্রতিটি বাড়িতে অবৈধ গ্যাসের চুলা কতগুলি আছে তার একটি লিস্ট তৈরি করেন তার সংখ্যা ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ৬ শত ১৪ টি অবৈধ চুলা সংযোগ আছেন যার প্রতিটি চুলা মূল্য ১ হাজার ৮০ টাকা করে যার মূল্য দাঁড়ায় ৩ শত ১৭ কোটি ১০ লক্ষ টাকার ও বেশি। প্রতি মাসে এভাবে এত টাকার সম্পদ চুরি হচ্ছেন তার কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না তিতাস কতৃপক্ষ। এরপর আমাদের সংবাদ কর্মী তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এণ্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও উপ-পরিচালক এর সাথে কথা বলেন তারা বলেন আমরা কয়েকটি টিম তৈরি করে প্রতি নিয়ত কাজ করে যাচ্ছি আমরা অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছি তারপরে আবার সেই লাইন সংযোগ হয়ে যাচ্ছে আমাদের প্রতি টি এলাকায় প্রতিদিন আমাদের যাওয়া সম্ভব হয় না তারপরও আমরা চেষ্টা করি আমাদের কাজ ঠিকঠাক মতন করার জন্য কিন্তু পারছি না কিছু বিভিন্ন দলীয় লোকজন ও কিছু সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ।এই পরিস্থিতি যতদিন থাকবে এভাবেই আমাদের তিতাস কোম্পানির ও সরকারের লস বহন করতে হবে তাই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি সরকার যেন যত দ্রুত সম্ভব এর পদক্ষেপ নেন। তা না হলে একটি জেলায় এত টাকার সম্পদ চুরি হচ্ছেন আরো তো অনেক জেলা আছেন তাহলে কত টাকার সম্পদ চুরি হচ্ছেন তা আমাদের বোধগম্য নন।। আমাদের নীতি আদর্শ নিয়ে আমরা যেন পথ চলতে পারি আমরা যেন গর্বের সাথে বলতে পারি আমার দেশ আমার অহংকার আমি গর্বিত আমি বাঙালি।।