নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রংপুর সদর কোতয়ালী থানার ওসির (অফিসার ইনচার্জ) বিরুদ্ধে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হোটেল থেকে রুকু মিয়া নামের এক ব্যবসায়ীকে আটক করে একটি জুয়ার মামলায় আসামী দেখিয়ে কোর্টে প্রেরণের অভিযোগ উঠেছে। তবে আসামী রুকুর স্ত্রী সুলতানা আকতার জানান, ওসির দাবিকৃত ৫০ হাজার টাকা না দেয়ায় তার স্বামী রুকু মিয়াকে হোটেলের গ্রাহকগনের সামনে থেকে ১০ এপ্রিল বিকেলে আটক করে ৯ এপ্রিল রাতে জুয়া খেলা অবস্থায় পালাতক আসামী হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়েছে ওসি অলিভ মাহমুদ। এটি চরম মিথ্যা কথা। কোতয়ালী থানা সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার, ওয়ারেন্ট তামিল ও আইন শৃঙ্খলা ডিউটি করা কালিন গত ০৯ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখ রাত ১১টা ৩০ মিনিটে গোপন সংবাদের ভিতিত্তে পাগলাপীর চওড়াপাড়া মৌজাস্থ কোতয়ালী থানার জনৈক মৃত জয়নাল তেলীর তামাক ক্ষেতের দক্ষিন পূর্ব কোনায় কয়েকজন জুয়ারী তাস দিয়ে টাকার বিনিময়ে মোমবাতির আলোতে জুয়া খেলছে তথ্য পাওয়া যায়। এ সময় অভিযান চালিয়ে হেলাল উদ্দিন, নিন্দালু, শফিকুল ও আবুল হোসেন নামের চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও ৮৭০ টাকা জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞেস করা হলে তারা রুকু মিয়া ও জামিল হোসেন নামের দুইজনের সংশ্লিষ্টতার কথা জানায়। আসামী রুকুর স্ত্রী সুলতানা আকতার অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী এক সময় পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করত। সে জুয়া খেলে না। রাত ৯টা হলে হোটেল বন্ধ করে একসঙ্গে বাড়ীতে চলে গিয়ে ঘুমাই।
৯ এপ্রিল তারিখ রাতে জুয়া খেলা হলো। পুলিশ ৪জনকে গ্রেফতার করল। ১০ এপ্রিল তারিখ বিকেলে আমার স্বামী রুকু মিয়া হোটেল ব্যবসা করা কালিন সময়ে তাকে ওসি অলিভ মাহমুদ ধরে নিয়ে আসল কোন কারণে? আমার স্বামীকে ওসি অলিভ মাহমুদ দালাল দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছিল। তিনি বলেছিল, জুয়া খেলায় তোমার নাম এসেছে। ৫০ হাজার টাকা দাও, নইলে গ্রেফতার করে জেলখানায় পাঠাব। এই টাকা না দেয়ার কারণে আমার স্বামী রুকু মিয়াকে ওসি রাগ হয়ে নিজেই হোটেল চলাকালিন সময়ে ধরে থানায় নিয়ে আসেন। মামলাটির বাদি এসআই মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, আসামীদের কোর্টে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সদর কোতয়ালী থানার ওসি অলিভ মাহমুদ এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে চাননি।