বিশেষ প্রতিনিধি:
হোল্ডিং ট্যাক্সের টাকা নিয়ে ভাগাভাগি করলেন জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের ইউপি সদস্যরা। এবং তাদের সাথে সক্রিয়ভাবে টাকা আদায় করেছেন হোল্ডিং ট্যাক্সের এমডি জিকরুল ইসলাম। যেখানে সাধারণ মানুষ দুই বেলা, দুই মুঠো খেতে পারে না সেখানেই ঘাড়ের ঘা হয়ে দাঁড়িয়ে জোরপূর্বক করে ঘর পুর্তি ৩০০/৫০০ /৬০০টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে তা আবার ভাগ করে নেন বালাগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যরা। সে কথা নিজ মুখে স্বীকার করেছেন বালাগ্রাম ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোছাঃকোহিনুর বেগম ও স্বামী নুরুল ইসলাম , নুরুল ইসলাম বলেন একথা আবার কাউকে বলেন না আমরা বসে হোল্ডিং ট্যাক্সের টাকা সবাই ভাগ করে নিবো এরকম এই মুঠো ফোনের কল রেকর্ড উঠে এসেছে গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে। এ বিষয় নিয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসক মহোদয় বলেন কারো বাড়িতে জোরপূর্বক করে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের কোন নিয়ম নীতি নেই, তবে আদায় করতে পারে সীমিত আকারে যারা প্রভাবশালী এবং নিজ ইচ্ছায় দিতে ইচ্ছুক রয়েছেন তাদের কাছে নিতে পারে। তবে অনেক জায়গায় শীতল রয়েছে যেমন ফকির, ফকিরানী, গরীব, দারিদ্র্যসীমার নিচে তাদের বাড়ির ধারের কাছেও যাওয়া যাবেনা। কিন্তু তাদের কাছ থেকেই হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের বাড়তি অভিযোগ আছে। এ বিষয় নিয়ে জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে কথা বলার জন্য চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন না। তবে বালাগ্রাম ইউনিয়নের জনসাধারণ বলেন পূর্বে যারা চেয়ারম্যান ছিলেন কোনদিনও আমাদের কাছে আসেনি টাকা নেওয়ার জন্য, আমরা ঠিক ভাবে খেতে পারিনা আমাদের কাছে আসে আবার হোল্ডিং ট্যাক্স নেওয়ার জন্য। তা আবার দিতে অস্বীকার করলে শুনতে হয় । অনেক কথা যেমন, হোল্ডিং ট্যাক্স অফিসাররা বলেন ট্যাক্স না দিলে জমির দলিল পার হবে না, চিকিৎসা সেবা পাবেন না, হিন্দুদের হুমকি দিয়ে বলে আপনারা কোন সময় যদি দেশে থাকতে না পারেন ইন্ডিয়া পালাতে পারবেন না, আপনাদের বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি করতে পারবেন না, শুধু কি তাই আরো অনেক সেবা থাকি নাকি বঞ্চিত থাকবে হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে না পারলে এমনটি বলতেছেন সাধারণ জনগণকে, যারা এই হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে একটু খানি বিমত পোষণ করছেন, শুনতে হচ্ছে তাদের এসব কথা। সচেতন মহল বলতেছেন যেভাবে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করতেছে মিথ্যা, ভিত্তিহীন কথা বলে এটা এক ধরনের আইন দণ্ডনীয় অপরাধ। এক ধরনের সাধারণ মানুষদেরকে ভয়ভীতি, দেখাচ্ছে এটার বিচার হওয়া দরকার, এবং হোল্ডিং ট্যাক্স বন্ধ করে দেওয়া দরকার বলে মনে করেন বালাগ্রাম ইউনিয়নের সচেতন মহল।