এম জাফরান হারুন::
পটুয়াখালীর গলাচিপায় চিকিৎসকের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। স্বজনদের দাবি, চিকিৎসক ডা. নাইমা কবির অসাবধানতার কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
৪ মার্চ মঙ্গলবার ১১ টায় গলাচিপা পৌরসভার চৌরাস্তা সংলগ্ন অবস্থিত নাইমা কবির ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড ক্লিনিক এ ঘটনা ঘটে।
নবজাতকের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার সকালে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হাসান হাং এর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সালমা বেগম গলাচিপা মা ও শিশু সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গেলে সেখানে দায়িত্বরত পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা লিপি আক্তার নাইমা কবির ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড ক্লিনিকে রেফার করেন। মৃত শিশুর পরিবারের লোকজন সিজারের উদ্দেশ্যে ভর্তি করেন ঐ ক্লিনিকে। ভর্তির পর ডা. নাইমা কবির এর নির্দেশে রোগীকে সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। নবজাতক শিশুটি ভূমিষ্ঠ হলেও কিছুক্ষণ পর ধীরে ধীরে নিস্তেজ হতে থাকে। পরবর্তীতে বিষয়টি চিকিৎসক ডা. নাইমা কবির কোনও পদক্ষেপ না নিয়ে অবহেলা করেন বলে অভিযোগ করেন রোগীর স্বজনরা। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ নবজাতকটিকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. জুবায়েরের কাছে নিয়ে গেলে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও বলে শিশুটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই মারা যায়।
স্বজনদের দাবি, অবহেলা না করে দ্রুত ব্যবস্থা নিলে নবজাতকের মৃত্যু হতো না। ডাক্তার ও হাসপাতালের অবহেলাই ছিল শিশুটি মারা যাওয়ার প্রধান কারণ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডাক্তার জানান, সিনিয়র কনসালটেন্ট পরিচয় দেওয়া ডাঃ নাইমা কবিরের ডিগ্রি নিয়ে রয়েছে সন্দেহ। নাইমা কবির ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড ক্লিনিকের এনেস্থিসিয়া ডাঃ সুমন কাগজে কলমে থাকলেও সেখানে আছে ধোঁয়াশা।
নবজাতকের বাবা হাসান হাং বলেন, ডাক্তার নাইমা কবির অবহেলায় আমার ছেলে মারা গেছে। এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি হাসপাতালের নিবন্ধন বাতিলের দাবিও জানান তিনি।
এবিষয়ে ডা. নাইমা কবির বলেন, বাচ্চাটি যে মারা যাবে তা আমি আগেই অবগত ছিলাম, সিজারের পর বাচ্চা জীবিত ছিলো। বাচ্চার মাকে গলাচিপা সরকারি মা ও শিশু হাসপাতাল থেকে রেফার করেছে দায়িত্বরত পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা লিপি আক্তার। বাচ্চা তার মায়ের জন্য মারা গেছে, কারন সে পড়ে গিয়েছিল। তখনই বাচ্চার সমস্যা হয়েছে। আমি বাচ্চার মাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি, বাচ্চাকে নয়।
গলাচিপা থানার ওসি মো. আশাদুর রহমান জানান, নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : ইসমাইল হোসেন সৌরভ,
নির্বাহী সম্পাদক:মো:শাহাবুদ্দিন খান
বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ শাহ্ কামাল,
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত