আরিফ সিকদার :
এ মাসে চালু হচ্ছে প্রথম ইউনিট, দ্বিতীয় ইউনিটে উৎপাদন শুরু হবে জুনে। সব মিলিয়ে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মিলবে এই কেন্দ্র থেকে। যা চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ। এরই মধ্যে প্রথম ইউনিটের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও কমিশনিং সম্পন্ন হয়েছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লোন্দা গ্রামে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে। নানা কারণে গত বছর উৎপাদনে যেতে পারেনি কেন্দ্রটি। তবে এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে চালু হচ্ছে ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট।
পটুয়াখালী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বলেন, ট্রান্সমিশন লাইন থেকে শুরু করে কয়লা পরিবহনের জেটি নির্মাণ শেষ। প্রথম ইউনিটে আপাতত পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হচ্ছে, বাণিজ্যিকভাবে শুরু মার্চে।
পটুয়াখালী তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) শওকত ওসমান বলেন, উৎপাদন চালু রাখার জন্য এক লাখ ২৫ হাজার টন কয়লা মজুত করা হয়েছে। এ মাসে আরও আসবে এক লাখ ৬৫ হাজার টন। এ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটের দাম পড়বে ৯ টাকা।
পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের টিপিসি (কর্মাশিয়াল), ম্যানেজার মি. ইয়াং বলেন, কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি অত্যাধুনিক আলট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির। আন্তর্জাতিক মানদন্ড মেনে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। যারফলে পরিবেশের ওপর এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতিকর তেমন কোন প্রভাব পরবে না বলে জানা চীনের এই প্রকৌশলী।
বর্তমানে দেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা ৫ হাজার ৯৯২ মেগাওয়াট। পটুয়াখালী পুরোপুরি চালু হলে দাঁড়াবে ৭ হাজার ৩১২ মেগাওয়াট।
সম্পাদক ও প্রকাশক : ইসমাইল হোসেন সৌরভ,
নির্বাহী সম্পাদক:মো:শাহাবুদ্দিন খান
বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ শাহ্ কামাল,
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত