বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ
তালতলী কড়ইবাড়িয়া এলাকায় সরকারি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর শারিকখালী ইউনিনের পরিবেশক মিজানুর রহমানের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদাবাজি করে আসছিলেন কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা।বিষয়টি জানাজানি হলে কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে দাবিকৃত চাঁদার টাকা ফেরত দেন।
খবর নিয়ে জানা যায়,গত ২৮ সেপ্টেম্বর রোজ শনিবার বরগুনা তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের হত দরিদ্রদের মাঝে চাল দিতে গেলে ডিলার মিজানুর রহমানের কাছে চাঁদা দাবি করেন কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা বাদশা,কবির আকন,মালেক,বশির সিকদার। এ নিয়ে কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় অনেক দেন দরবার হয়।পরে বাধ্য হয়ে লভ্যাংশের ৪ হাজার টাকা বিএনপি নেতাদের চাঁদা দিতে ডিলার মিজান রাজিও হয়।পরবর্তীতে বিএনপি নেতাদের চাঁদার বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে টাকা ফেরত দেন কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহীম সিকদার পনুর কাছে।
কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাদশা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,তালতলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদ মেম্বার ভালো জানেন।
তালতলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদ মেম্বার বলেন,কেউ কারও কাছ থেকে চাঁদা নেয়নি। ৪হাজার টাকা চেয়ারম্যানের কাছে জমা রাখতে বলেছি।
তালতলী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন,আমি সার্বক্ষনিক মনিটরিং করেছি এবং টাকাটা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইব্রাহীম সিকদার পনু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,আমার কাছে ৪ হাজার টাকা জমা রয়েছে।এখনও কেউ নেয়নি।
এ বিষয় জানতে চাইলে ডিলার মিজান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,টাকা ফেরত পেয়েছি, সমাধান হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপির ত্যাগী কর্মী বলেন, বর্তমান বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে দলের পদ পদবী ব্যবহার করে যারা দলের ভাবমূর্তি নস্ট করছে, চাঁদাবাজি করছে তাদের দল থেকে বহিস্কার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করেন তিনি।
এ নিয়ে এলাকায় বিএনপি র ত্যাগি নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।