জুলহাস আহমেদ, বরগুনা:
উপজেলা পরিষদ ওয়ারী ১ম পর্যায়ের বরাদ্দের কাবিখা প্রকল্পের কাজ কাগজে কলমে শেষ হলেও, সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভিন্নতা। ইতিমধ্যে বিলের সম্পূর্ণ টাকা তুলে নিয়েছেন কাবিখা প্রকল্পের বরাদ্দ পাওয়া সিপিছি। তবে কাজটি কতদূর করা হয়েছিল? বলে জানতে চাইলে, এলাকাবাসী জানায় ভিন্ন কথা বরাদ্দের কথা শুনে অবাক তারা বিগত ২০ বছরেও এই রাস্তায় একটুকরা মাটি না দেওয়ায় কতটা অসহায় হয়ে পড়েছেন তারা জানান সেই কথা।
বরগুনা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ ওয়ারী ১ম পর্যায় কাবিটা প্রকল্পের আওতায় বরগুনা সদর উপজেলার ৭নং ঢলুয়া ইউনিয়নের মোল্লারহোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে আব্দুল কাদের খানের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মাটি ধারা মেরামত। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের স্মারক নং ৫১.০১.০০০০.০১১.১৪.০০৭.২২.২৭১ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ত্রাণ শাখার অধিনে সরকারি কাবিটা (নগদ অর্থ প্রদান) প্রকল্পে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের (গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ) ৩,৫৭,৪৯২ টাকা বরাদ্দে মাটির রাস্তা মেরামতের কাজ পেয়েছিলেন একই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে জামাল হোসাইন ।বাস্তবে কাজ না হলেও কাগজ পত্রে কাজ শেষ করে বিলও তুলে নিয়েছেন তিনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্কিমে ১২ নং প্রকল্প মোল্লারহোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে আব্দুল কাদের খানের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মাটি ধারা মেরামতের কথা উল্লেখ থাকলেও কাজটি না করেই বিল টাকা তুলে নিয়েছেন কাবিখা প্রকল্প বরাদ্দ পাওয়া সিপিসি জামাল হোসাইন। রাস্তার মাঝখানে বড় বড় ভাঙ্গন থাকলে সেগুলো মেরামত পর্যন্ত করেননি তিনি(নাসির উদ্দিন)। ওই এলাকায় বসবাসকারী লোকজন বলছেন বর্ষার মৌসুমে রাস্তাটি ওই ভাঙ্গনের কারনে সম্পূর্ণ চলাচলে অযোগ্য হয়ে পরে। ফলে ভাগান্তিতে রয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় এলাকার কয়েকজন বলেন, গেল ২০ বছরেও রাস্তাটির কোন কাজ করা হয় নাই। বর্ষার মৌসুমে রাস্তাটি দিয়ে চলাচলে বেশ অসুবিধা পোহাতে হয়। এমন কি মসজিদে নামাজ ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারে না তাই দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা একান্ত প্রয়োজন হয়ে পরেছে।
এবিষয়ে সিপিসি জামাল হোসাইনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পরে ফোন কেটে দেন।
ঢলুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল হক স্বপন মুঠোফোনে বলেন, রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা দরকার ওই রাস্তাটি টেন্ডার হয়েছে কার্পেটিং হবে। তবে বরাদ্দের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই রাস্তায় কোন কাজ হয়নি কে বা কারা ভুয়া প্রকল্প দিয়ে টাকা তুলে নিয়েছে বিষয়টি আপনারা দেখেন।
এবিষয়ে বরগুনা সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, কাজ না করে সম্পূর্ন টাকা তুলে নেয়া সম্ভব না, আপনি আমাকে প্রকল্পের নাম্বার বলুন আমি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।