মো:সৈকত জামান প্রিন্স,ফুলছড়ি-গাইবান্ধা:
ফুলছড়ি উপজেলা ও উদাখালি ইউনিয়নের পশ্চিম ছালুয়া যুব সমাজের উদ্যোগে
ফুলছড়ি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের উত্তর পাশে মাইজভান্ডারী বাড়ির সামনে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পাতা খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেল ঠিক ৪টায় মাঠের চারপাশে জড়ো কয়েক হাজার দর্শক। গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী ‘পাতা খেলা’ উপভোগ করে সবাই। ফারুক মিয়ার পরিচালনায় খেলাটি টানা 2 ঘন্টা হয়
এই খেলায় তন্ত্রমন্ত্রের মাধ্যমে পাতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন তান্ত্রিক বা ওঝা। মন্ত্রের শক্তিতে পরাস্ত কোনো পাতা নির্ধারিত দাগের বাইরে বেরিয়ে এলে জয়ী হন তান্ত্রিক। আর মন্ত্রের শক্তিকে দমন করে কোনো পাতা নিজে রসীমানায় অটল থাকলে বিজয়ী হন তিনি। উক্ত খেলায় আশপাশে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো হাজারো জনতা খেলার টি উপভোগ করার জন্য ভিড় করে উক্ত খেলায় একজন পাতা ও একজন তান্ত্রিক বা কবিরাজ খেলায় অংশগ্রহণ করেন। মাঠের মাঝখানে পুঁতে রাখা হয়েছে একটি কলাগাছ। গোড়ায় পানিভর্তি মাটির ঘটি। চারপাশ চুন দিয়ে বৃত্তাকারে ঘিরে রাখা হয়েছে। খেলার মাঠটিও বৃত্তাকারে চিহ্ন দেওয়া হয়েছে। ঘটির পানিতে হাত ভিজিয়ে মাঠের বিভিন্ন পাশে খেলোয়াড়রা অবস্থান নিয়ে মাটিতে হাত রেখে শুরু হলো মন্ত্রপড়া।ওঝা তার লক্ষ্য পূরণে ‘দুই চোখে দেখাদেখি/চার চোখে টানাটানি/সপ্ত চোখে বস/ওরে বম/আমাকে ছাড়িয়া যদি অন্যদিকে যাস/দোহাই তোর-মহাদেব/দোহাই তোর- ঈশ্বরের মাথা খাস’ মন্ত্রের সাহায্যে পাতাকে বস করে দাগের বাইরে নিয়ে আসতে কৌশল অবলম্বন শুরু করেন।